বিশেষ প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার দুই পলাতক আসামি মো. সালাম গাজী (৪৫) ও মো. সাইফুদ্দিন কাজী (৩১) কে শুক্রবার বিকেলে নতুন বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে বরিশাল RAB-8 এর একটি দল। উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের দুই সন্তানের জননী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে নির্যাতিতা বাদী হয়ে সালাম গাজী (৪৫) এবং সাইফুদ্দিন কাজী (৩৫) নামের দুই জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী প্রতিবন্ধী। এই সুযোগে একই গ্রামের মৃত আক্তার গাজীর পুত্র দাউদখালী নূরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী সালাম গাজী ও মান্নান কাজীর পুত্র দাউদখালী (ডিগ্রী) ফাজিল মাদরাসার নাইটগার্ড সাইফুদ্দিন কাজী ওই গৃহবধুকে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গৃহবধূ অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দুই লম্পট গত ২৭ মে কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে প্রতিবন্ধী স্বামী ও দুই শিশু সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে পাশের বারান্দায় নিয়ে সালাম গাজী মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এসময় আন্য আসামী সাইফুদ্দিন কাজী ঘটনাস্থলের পাশে দাড়িয়ে পাহারা দেয়।
এক পর্যায়ে গৃহবধূ জোর জবরদস্তি করে মুখ থেকে হাত ছাড়াইয়া ডাক চিৎকার দিলে বাড়ির অন্য লোকজন আসলে দুই লম্পট পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গত ১ জুন ওই লম্পটটা আবরো কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে ওই গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে বারন্দায় নিয়ে ধর্ষণ করে। দস্তাদস্তির একপর্যায়ে ঘরের লোকজন ঘুম থেকে জেগে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালিয়ে লম্পট সালাম গাজী ও সাইফুদ্দিন কাজীকে দেখতে পেলে তারা বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। গত ৭ জুন ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে মাঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। অব্যাহত হুমকির পরেও মামলা তুলে না নেয়ায় গত ২২ জুন গভীর রাতে ভূক্তভোগির বসত ঘর ও পাশে রান্নাঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।