মোঃ মনিরুল ইসলাম চৌধুরী,পিরোজপুরঃ পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর আওতাধীন ইসলামিক মিশন। এই বৈশ্যিক করোনার মধ্যেও তারা তাদের মিশনারী কাজের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। অত্র কেন্দ্রের মাধ্যমে ইন্দুরকানী উপজেলা তথা পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলা থেকে আগত দৈনিক গড়ে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী একজন মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে ১০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ পাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও ইসলামিক মিশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট্ট একটি নাজুক ভবনে একজন ডাক্তার প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র মিশনের ৮৩ শতাংশ জমি বিদ্যমান থাকার পরেও নেই কোনো অবকাঠামো উন্নয়ন, নেই কোন অফিস ভবন, না আছে কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবনের ব্যবস্থা।
আরও জানা যায়, ইসলামিক মিশন কেন্দ্রে প্রকট জনবল সংকট বিদ্যমান। ১৪ জন পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৩ জন। ইসলামিক মিশনের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. ইলিয়াস খান জানান, আমি গত সাড়ে চার বছর ধরে এখানে নিরলসভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। তবে জনবল সঙ্কটে উক্ত সেবা কার্যক্রমে মাঝে মাঝেই সৃষ্টি হয় বিভ্রান্তি।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ইসলামিক মিশনের ডাক্তার সাহেব সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। ইন্দুরকানী উপজেলায় হেলথ কমপ্লেক্স থাকা সত্ত্বেও আমরা ইসলামিক মিশনের সেবার মান ভালো বলেই এখানে চিকিৎসা নিতে আসি।
এ ব্যাপারে বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কবির হোসেন জানান, ইসলামিক মিশনের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই সন্তোাষজনক। এলাকার মানুষজন খুবই উপকৃত হচ্ছে। কবির হোসেন আরোও বলেন মিশনে জনবল,অফিস ভবন ও আবাসিক ভবন প্রয়োজন ।
ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, ইন্দুরকানী উপজেলায় ইসলামিক মিশন সম্পর্কে আমি জানি। মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইলিয়াস একজন সুদক্ষ অফিসার। তিনি এখানে যোগদানের পর ইসলামিক মিশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানের সার্বিক কার্যক্রম অনেক ভালো ও জনকল্যাণমুখী। যার সুবিধা ভোগ করছে আমার এলাকার জনগণ। আর আমি আরো জানতে পেরেছি যে অত্র মিশন প্রকট জনবল সংকট ও অবকাঠামোর দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। চিকিৎসা সেবা মান অটুট রাখতে দ্রুত জনবল পদায়ন ও অফিস ভবন নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
মোঃ মনিরুল ইসলাম চৌধুরী
পিরোজপুর।
০১৭১৬-৯৮৯০৩১